অলৌকিকভাবে জীবনে কেউ কেউ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। এমন সৌভাগ্য সবার জীবনে ঘটে না। একজন খোকন অতীতকে সঙ্গী করে প্রতিনিয়ত নিজেকে খুঁজে চলেছে। খোকনের অধ্যয়ন, আত্মসচেতনতা, সৃজনশীলতা অন্বেষণের ইচ্ছাই জীবনে নতুন মূল্যবোধ এনে দিয়েছে। কালের ব্যবধানে সে অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে অর্থবহ। এ যেনো এক অন্তরঙ্গ যাত্রা। শৈশব জীবনে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা।
অলৌকিকভাবে জীবনে কেউ কেউ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। এমন সৌভাগ্য সবার জীবনে ঘটে না। একজন খোকন অতীতকে সঙ্গী করে প্রতিনিয়ত নিজেকে খুঁজে চলেছে। খোকনের অধ্যয়ন, আত্মসচেতনতা, সৃজনশীলতা অন্বেষণের ইচ্ছাই জীবনে নতুন মূল্যবোধ এনে দিয়েছে। কালের ব্যবধানে সে অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে অর্থবহ। এ যেনো এক অন্তরঙ্গ যাত্রা। শৈশব জীবনে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। সেই সব ঘটনা তার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হয়ে উঠেছে। যারা খোকনের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে তারা এক এক টুকরো আত্মকথা। প্রতিটি ঘটনার অতীত, পারিপাশি^র্ক বন্ধন, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, গ্রহণযোগ্যতা, সম্প্রদায়, রাজনীতি, সংস্কৃতি, পরিবার এবং পরিবর্তনের গল্প যেনো সেই আত্মকথারই উপাদান। একটি সমৃদ্ধ পরিবার, একটি সমৃদ্ধ গ্রাম, সমৃদ্ধ সংস্কৃতির নাগরিক—ছেঁায়া একজন খোকনকে জয়ন্ত হয়ে ওঠার আত্মবিশ^াস খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। মঞ্চনাটক, যাত্রাপালা, কবিগান, সার্কাস, নৌকাবাইচ, গ্রামীণ থিয়েটার, মায়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া, খেলাধুলা, স্কুলজীবনে নাটক পরিচালনাÑ এ সবই তাঁর স্মৃতিমাখা অনুভূতি। শৈশবে তাঁর উচ্চাকাক্সক্ষা ঘন ঘন পরিবর্তিত হতে থাকে। শিল্প—সংস্কৃতির প্রতি প্রবল অনুরাগের কারণে পরিবার থেকে বিশেষ করে বাবা কালিকানন্দ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে একজন সব্যসাচী শিল্পী হওয়ার সব খোরাক যুগিয়েছেন। তিনি বড় হয়ে একজন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। আজ তিনি হয়তো অনেক বিষয়ে অনেকেরই শিক্ষক। শৈশবে ঘটে যাওয়া পুনরাবৃত্তির গল্পগুলোই স্মৃতিমাখা উপন্যাস ‘পূর্বাহ্ণ’Ñ নিজের সঙ্গে সৎ কথোপকথনের একটি প্রামাণ্য দলিল।
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আনন্দ নিয়েই আবৃত্তি করেন। আবৃত্তি তাঁর প্রেম। অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিয়েছেন, বেশ কিছু বছর ধরে লেখালেখিতে মগ্ন আছেন। পাঠক হিসেবে তিনি জীবনানন্দের কবিতা ভালোবাসেন। আবৃত্তিকার হিসেবে অনেক কবির কবিতাই তাঁর পছন্দ। এই বিশাল ব্যক্তিত্বের মানুষটি তাঁর ভাবনা, চিন্তার গভীরতা, আধুনিক মানসিকতা তাঁকে একজন সব্যসাচী শিল্পী হতে সাহায্য করেছে। ক্রিয়েটিভ ঢাকা সব সময় বিষয়ভিত্তিক বই প্রকাশে বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করে আসছে। ‘পূর্বাহ্ণ’ তার ব্যতিক্রম নয়। ইতোমধ্যে ক্রিয়েটিভ ঢাকা থেকে তাঁর ছয়টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। স্মৃতিমাখা উপন্যাস ‘পূর্বাহ্ণ’ সপ্তম গ্রন্থ। শীঘ্রই আরো দুই খণ্ডÑ ‘মধ্যাহ্ন’ ও ‘অপরাহ্ণ’ প্রকাশিত হবে। আবৃত্তির পাশাপাশি তিনি এ বয়সেও নানা মাধ্যমে অভিনয় করে যাচ্ছেন। এটা কোনো বৈষয়িক সাফল্যের জন্যে নয়। তিনি ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি শিল্পকলা পদক, একুশে পদকসহ অনেক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তিনটি কারণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত: তিনি এদেশের শ্রেষ্ঠ আবৃত্তিকার, দ্বিতীয়ত: একজন সৃজনশীল অভিনেতা এবং তৃতীয়ত: একজন মানসম্পন্ন লেখক। তিনি এপার—ওপার দুই বাংলাতেই সমানভাবে জনপ্রিয় ও আদৃত। তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি মানুষ কেমন। তাঁর সান্নিধ্যে গেলে বোঝা যায়, তিনি কত স্নেহ করতে পারেনÑ কত ভালোবাসতে পারেন মানুষকে। জয়তু জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
আবিদ—এ—আজাদ
অলৌকিকভাবে জীবনে কেউ কেউ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। এমন সৌভাগ্য সবার জীবনে ঘটে না। একজন খোকন অতীতকে সঙ্গী করে প্রতিনিয়ত নিজেকে খুঁজে চলেছে। খোকনের অধ্যয়ন, আত্মসচেতনতা, সৃজনশীলতা অন্বেষণের ইচ্ছাই জীবনে নতুন মূল্যবোধ এনে দিয়েছে। কালের ব্যবধানে সে অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে অর্থবহ। এ যেনো এক অন্তরঙ্গ যাত্রা। শৈশব জীবনে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা।
By জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
Category: উপন্যাস
অলৌকিকভাবে জীবনে কেউ কেউ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। এমন সৌভাগ্য সবার জীবনে ঘটে না। একজন খোকন অতীতকে সঙ্গী করে প্রতিনিয়ত নিজেকে খুঁজে চলেছে। খোকনের অধ্যয়ন, আত্মসচেতনতা, সৃজনশীলতা অন্বেষণের ইচ্ছাই জীবনে নতুন মূল্যবোধ এনে দিয়েছে। কালের ব্যবধানে সে অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে অর্থবহ। এ যেনো এক অন্তরঙ্গ যাত্রা। শৈশব জীবনে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। সেই সব ঘটনা তার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হয়ে উঠেছে। যারা খোকনের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে তারা এক এক টুকরো আত্মকথা। প্রতিটি ঘটনার অতীত, পারিপাশি^র্ক বন্ধন, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, গ্রহণযোগ্যতা, সম্প্রদায়, রাজনীতি, সংস্কৃতি, পরিবার এবং পরিবর্তনের গল্প যেনো সেই আত্মকথারই উপাদান। একটি সমৃদ্ধ পরিবার, একটি সমৃদ্ধ গ্রাম, সমৃদ্ধ সংস্কৃতির নাগরিক—ছেঁায়া একজন খোকনকে জয়ন্ত হয়ে ওঠার আত্মবিশ^াস খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। মঞ্চনাটক, যাত্রাপালা, কবিগান, সার্কাস, নৌকাবাইচ, গ্রামীণ থিয়েটার, মায়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া, খেলাধুলা, স্কুলজীবনে নাটক পরিচালনাÑ এ সবই তাঁর স্মৃতিমাখা অনুভূতি। শৈশবে তাঁর উচ্চাকাক্সক্ষা ঘন ঘন পরিবর্তিত হতে থাকে। শিল্প—সংস্কৃতির প্রতি প্রবল অনুরাগের কারণে পরিবার থেকে বিশেষ করে বাবা কালিকানন্দ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে একজন সব্যসাচী শিল্পী হওয়ার সব খোরাক যুগিয়েছেন। তিনি বড় হয়ে একজন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। আজ তিনি হয়তো অনেক বিষয়ে অনেকেরই শিক্ষক। শৈশবে ঘটে যাওয়া পুনরাবৃত্তির গল্পগুলোই স্মৃতিমাখা উপন্যাস ‘পূর্বাহ্ণ’Ñ নিজের সঙ্গে সৎ কথোপকথনের একটি প্রামাণ্য দলিল।
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আনন্দ নিয়েই আবৃত্তি করেন। আবৃত্তি তাঁর প্রেম। অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিয়েছেন, বেশ কিছু বছর ধরে লেখালেখিতে মগ্ন আছেন। পাঠক হিসেবে তিনি জীবনানন্দের কবিতা ভালোবাসেন। আবৃত্তিকার হিসেবে অনেক কবির কবিতাই তাঁর পছন্দ। এই বিশাল ব্যক্তিত্বের মানুষটি তাঁর ভাবনা, চিন্তার গভীরতা, আধুনিক মানসিকতা তাঁকে একজন সব্যসাচী শিল্পী হতে সাহায্য করেছে। ক্রিয়েটিভ ঢাকা সব সময় বিষয়ভিত্তিক বই প্রকাশে বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করে আসছে। ‘পূর্বাহ্ণ’ তার ব্যতিক্রম নয়। ইতোমধ্যে ক্রিয়েটিভ ঢাকা থেকে তাঁর ছয়টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। স্মৃতিমাখা উপন্যাস ‘পূর্বাহ্ণ’ সপ্তম গ্রন্থ। শীঘ্রই আরো দুই খণ্ডÑ ‘মধ্যাহ্ন’ ও ‘অপরাহ্ণ’ প্রকাশিত হবে। আবৃত্তির পাশাপাশি তিনি এ বয়সেও নানা মাধ্যমে অভিনয় করে যাচ্ছেন। এটা কোনো বৈষয়িক সাফল্যের জন্যে নয়। তিনি ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি শিল্পকলা পদক, একুশে পদকসহ অনেক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তিনটি কারণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত: তিনি এদেশের শ্রেষ্ঠ আবৃত্তিকার, দ্বিতীয়ত: একজন সৃজনশীল অভিনেতা এবং তৃতীয়ত: একজন মানসম্পন্ন লেখক। তিনি এপার—ওপার দুই বাংলাতেই সমানভাবে জনপ্রিয় ও আদৃত। তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি মানুষ কেমন। তাঁর সান্নিধ্যে গেলে বোঝা যায়, তিনি কত স্নেহ করতে পারেনÑ কত ভালোবাসতে পারেন মানুষকে। জয়তু জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
আবিদ—এ—আজাদ