কিছুদিন আগে প্রফেসর সামাদী যোগাযোগ করেন। তিনি আমার নাটক 'তাজমহল কা টেন্ডার'(তাজমহলের টেন্ডার) বাংলায় অনুবাদ করতে চাইছিলেন। এই ভেবে আনন্দ হয়েছিল যে ভারতে প্রচলিত এই নাটকের সঙ্গে এবার বাংলাদেশের ভাই—বোনেরাও পরিচিত হতে পারবেন।
অলৌকিকভাবে জীবনে কেউ কেউ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। এমন সৌভাগ্য সবার জীবনে ঘটে না। একজন খোকন অতীতকে সঙ্গী করে প্রতিনিয়ত নিজেকে খুঁজে চলেছে। খোকনের অধ্যয়ন, আত্মসচেতনতা, সৃজনশীলতা অন্বেষণের ইচ্ছাই জীবনে নতুন মূল্যবোধ এনে দিয়েছে। কালের ব্যবধানে সে অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে অর্থবহ। এ যেনো এক অন্তরঙ্গ যাত্রা। শৈশব জীবনে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা।
খুব সহজেই বলা যায়, যে সময় নাসরীন জাহান এ উপন্যাস লিখছেন তখন দুনিয়াব্যাপী জাদুবাস্তবতার একটা ঘোর চলছে। তার হাওয়া বাংলা ভাষাতেও এসেছে। কেউ কেউ পন্ডিতি করছেন, কেউ কেউ লিখছেন ম্যাজিক রিয়ালিজমের কথা। শহীদুল জহীরকে সংজ্ঞায়িত করে ফেলা হচ্ছে বাংলার জাদুবাস্তবের প্রতিভ‚ হিসেবে। এইসব কিছুর আঁচ কি ‘চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার’ পড়তে গেলে টের পাই আমি? পাই। কিন্তু সে আঁচ খুব বেশি দূর টেকে না।
When I first read 'Renur putul, I was very surprised. A girl so young can write such a beautiful story? Although I knew Nidhi read a lot since childhood,and also wrote a few stories as fun. But it was unimaginable that such a beautiful teenager would write an adventure novel. I felt it was my duty to encourage this talent. So I freely published the book. Among the books published by 'Creative Dhaka', ‘Renur putul’ was our bestseller. 'Muktijuddho e-Archive' added ‘Renur Putul' to the list of books of the Liberation War to libraries across the country. As a result, "Renur putul" spread to readers all over the country. Meanwhile, well-known actress of the country Afsana Mimi has announced that she will make a film of "Renur putul".
মানুষ তো সরল রেখা না। সে সব সময় সরল পথে চলে না, সরল কথা বলেও না। প্রচলিত ধারণা জ্ঞানী-গুণি-মহৎ মানুষেরা সব সময় ভালো ভালো কথা বলেছেন। বাণী চিরন্তনী কিংবা যে কোন উদ্ধৃতি সংকলনেই নানা মুনীর উৎকৃষ্ট সব কথায় ভরপুর পৃষ্ঠা দেখি। কিন্তু তিনারাও মানুষ। রাগে-ক্ষোভে-রসিকতায় তারাও অনেক কড়া কিংবা তিতা কথা বলেছেন। সেই সব বাঁকা কথার মধ্যে তিক্ততা থাকে, রসিকতা থাকে, থাকে লুকানো প্রজ্ঞাও। মৌমাছির কামড়ের ঝুঁকি নিয়েই মৌ খাওয়া যায়। তিতার মধ্যেও ভাইটামিন আছে।
সেরা শব্দটি সব সময়ই বিতর্কিত। কারো কাছে যেটি সেরা অন্য কারো কাছে সেটি নগন্য বা জঘন্যও হতে পারে। তবুও শিল্প—সাহিত্য, খেলাধুলা থেকে নানা ক্ষেত্রেই সেরা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বিতর্ক সৃষ্টির জন্য নয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু চলচ্চিত্রের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিতেই এই বই। শত সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় খেয়াল করা হয়েছে। পাঠকের জ্ঞাতার্থে তা তুলে ধরছি। বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের আলোচনার ক্ষেত্রে আইএমডিবি, মেটাক্রিটিক এবং রটেন টমেটো নামের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ওয়েবসাইট আছে।
আলো অন্ধকার আমাদের অস্তিত্বে মিশে আছে সুখ—দুঃখের মতো। আমরা প্রতিনিয়ত কত কিছুই তো দেখছি, শুনছি। কিন্তু মনোবাঞ্ছা পুরনে ক’জন সৌন্দর্যের দেব—দেবীকে খুঁজে পেয়েছি?
জীবনের দ্বৈততায় কত বাধাবিঘ্ন, উদ্ভুত অবস্থার সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা আলোকময় পথ খুঁজে চলেছি। আলো এবং অন্ধকার আমাদের জীবনে আশা, স্বচ্ছতা, স্বাধীনতা এবং বোঝাপড়ার আত্মদর্শন। সেই আত্মদর্শনের উপলব্ধি নিয়ে নাজমুন নাহার স্টার লিখেছেন তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘আলো অন্ধকারে লেখা’,
গল্প, কবিতা, দিনলিপি, প্ৰেমপত্ৰ, গান যাই লিখি আমা, শেষ পৰ্যন্ত সবই হয়ে যায় আত্মজীবনীর অংশ ৷ সবাই তো লেখে, বাজারের ফৰ্দ, ফেইসবুকের স্ট্যাটাস, দিনের কাৰ্যতালিকা বাৎসরিক পরিকল্পনা কতো কিছুই না জীবনভর লিখে যায় মানুষ ৷ তবু সব লেখার কি সেই ধার বা ভার থাকে? -থাকে না।
কিন্তু আল্লাদিত্তা আলাউদ্দিন যাই লেখেন তা ভাৱেও কাটে, ধারেও কাটে ৷ সবিনয়ে ‘বলতে চাই আমার পঠন-পাঠনের সিলেবাসে তার ‘বি্মৃতের জানল’ এর মতো বই আর নেই ৷
সবাইকে সৃষ্টিকর্তা সব কিছু দেন না। আমার জীবনের বড় দুটি দুঃখের একটি হলো, আমি ছবি আঁকতে পারি না। দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতো ছবি আঁকতে না—পারার সাধ আমি মিটিয়েছি চিত্রকলা নিয়ে পড়ালেখা করে। খুব অল্প বয়সেই আমি ভ্যান গগের প্রেমে পড়ি। আমার এখনও মনে পড়ে, একদিন ভ্যান গগের উপর একটা বই নীলক্ষেতে পেয়ে যাই। তখন কলেজে পড়ি, তার চেয়ে বেশি পড়ি নীলক্ষেতে।
একটা দীর্ঘ কবিতা, একটা দীর্ঘ ভাঙন, একটা দীর্ঘ নির্মাণ, একটা জাতির ইতিহাস, একজন মানুষ, একজন উত্তরাধিকার, একজন পূর্বপুরুষের গল্প, অথবা একটি কবিতাই রচনা করেছেন সাকিরা পারভীন। এই রচনা, এই কাব্যগাথা কোনো স্তুতি নয়, এটি কোনো রাজনৈতিক অভিভাষণ নয়, এই কাব্যগাথা একটি আত্মনিবেদন কিংবা প্রার্থনার মতো কিংবা প্রেমের মতো।
পুরুষদের স্বাস্থ্যের তুলনায় মহিলাদের প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্যের আলাদা পার্থক্য রয়েছে। গর্ভাবস্থা ও প্রসবকালীনে প্রতি বছর ১ মিলিয়ন মাতৃমৃত্যু যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে থাকে। উন্নয়নশীল আর উন্নত দেশগুলির মধ্যে নারী স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্যের কারণে মৃত্যুর হারে ব্যবধান রয়েছে। নারী মৃত্যুর মধ্যে যেসব অপ্রজননজনিত রোগ রয়েছে। যেমন কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের চেয়ে প্রিএক্ল্যাম্পসিয়াসহ গর্ভাবস্থায় মৃত্যু বেশি।
ছবি আদতেই শব্দের ব্যাখ্যার অতীত। ভাষাগত মাধ্যমের সঙ্গে তুলনা করলে শিল্পের জগতে চিত্রকর্ম হলো কবিতার মতো। সে যত না প্রকাশ করে, তার চেয়ে বেশি রহস্য বুনে রাখে। আর দ্রষ্টার ভেতরে ক্রমশ স্রষ্টা ও তার সৃষ্টিকর্ম ঢুকে যেতে থাকে। চিত্র, তা তৈলচিত্রই হোক আর আলোকচিত্রই হোক, তা যোগ্য শিল্পীর হাতে হয়ে ওঠে রহস্য-রোমাঞ্চের কারখানা।
পৃথিবীতে দিন দিন স্থূলতা ভয়াবহ হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু বয়স থেকে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত। শিশু—কিশোরদের স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে না থাকার কারণে প্রাপ্তবয়সেও স্থূলতা স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। অনেক সময় আমরা নিজ সন্তানের সঙ্গে অন্যের সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে তুলনা করে থাকি। যেন মনে হয় অন্যের সন্তান নিজেরটার চেয়ে স্বাস্থ্যবান। স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য অন্যের ন্যায় আমরা শিশুকে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমে যাই। এতে শিশুর ছোট্ট পাকস্থলী আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। শিশু বয়সে তার যতটুকু খাওয়া প্রয়োজন, তার চেয়ে অনেক বেশি খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরি হয়।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বোত্তম পুষ্টি খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম
সৈয়দা শারমিন আক্তার
সম্প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সচতনতা বেড়েছে। প্রযুক্তির কারণে এখন আমরা চাইলেই অনেক কিছুই জানতে পারি। ভাল মন্দ আমরা বুঝতে চেষ্টা করি। সচেতনতা আছে, তবে কখনওবা অল্পে বেশি জানার চেষ্টায় ভুল হয়ে যায়। শুধুমাত্র খাবারের মাধ্যমে বিভিন্ন পুষ্টিগত স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে স্বাস্থ্যসমস্যারও জন্ম হচ্ছে। এতে রাতারাতি কিছু উপকারিতা পেলেও পরবর্তি জীবনে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিসেফ’ পুষ্টিগত স্বাস্থ্যসমস্যার সম্পূর্ণ সমাধানে ৩টি উপায় বের করেছে। যার সমন্বয়ে যে কোন ধরনের পুষ্টিগত স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান সম্ভব। যা বাংলায় পুষ্টিত্রিভূজ (Nutrition triangle) নামে পরিচিত। এই উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্যের নিশ্চয়তা, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও যত্ন। এই ৩টি উপায় একটা আরেকটার পরিপুরক। এ থেকে যে কোন একটার অভাব থাকলেও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিক্ষণ সময়টা মানবজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ জীবনের এই পর্যায়েই শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটে। শুধু তা-ই নয়, এসময়ে মানুষের চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধি-বিবেচনাতেও অনেক পরিবর্তন আসে। বর্তমানে বাংলাদেশে শিশু-কিশোররা শিশুকাল থেকেই নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়। বয়ঃসন্ধিকালে তাদের অনেক ধরনের জানা-অজানা তথ্য জানতে চাওয়ার আগ্রহ বাড়ে। তাই এ সময়ে সঠিক তথ্য না জানার অভাবে কিশোর-কিশোরীরা খুব সহজেই বিপথগামী হয়ে পড়তে পারে।